সব
অনগ্রসর অঞ্চলের উদ্যোক্তাদের ১০ বছর আয়কর-শুল্ক প্রণোদনা
প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২৩ চূড়ান্ত করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এতে অনগ্রসর অঞ্চলের উদ্যোক্তাদের প্রথম দশ বছর আয়কর অব্যাহতি ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক ছাড় প্রণোদনার সুযোগ রাখা হয়েছে। বৈশ্বিক প্লাস্টিক বাজারে অংশগ্রহণ বাড়ানো ও বিদ্যমান বাজার সম্প্রসারণে পাঁচ বছর মেয়াদী এই নীতিমালা প্রণয়ন করেছে মন্ত্রণালয়, যা ২০২৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।
নীতিমালায় নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে প্লাস্টিক শিল্পের উন্নয়নে নীতি সহায়তা দিতে একটি সময়াবদ্ধ পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায়, এই পরিকল্পনাতে ৯টি কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে স্থানীয় শিল্পসমূহের সংখ্যা বৃদ্ধি, সক্ষমতা তৈরি, আন্তর্জাতিক বাজারে অভিগম্যতা বৃদ্ধিতে আধুনিক প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, রপ্তানি বৃদ্ধিতে কমপ্লায়েন্স বাড়ানো, দক্ষতা উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : কিশোরগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০০
দেশীয় শিল্পসমূহের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা নিশ্চিতে প্লাস্টিক খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলোকে স্বল্পসুদে বিশেষ করে তহবিল খরচের সঙ্গে ৩ শতাংশ সুদে ঋণপ্রদানের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, প্লাস্টিক শিল্পের উন্নয়নে ২০২১ সালে খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়। প্রায় দুই বছর পর এই নীতিমালার উপর স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে চলতি বছরের জুনে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, নতুন পণ্য, উপজাত থেকে চূড়ান্ত পণ্য, জ্বালানি ও পানির কার্যকর এবং দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদনকারী শিল্পকে কর অব্যাহতি এবং ক্ষুদ্র ও কুটির প্লাস্টিক শিল্পকে কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদান করা হবে। নীতিমালায় প্রণোদনার বিষয়ে বলা হয়েছে, প্লাস্টিক পার্ক বা অনগ্রসর অঞ্চলসমূহে প্রথম ১০ বছর আয়কর অব্যাহতি প্রদান করা হবে। আমদানিকৃত মূলধনী সরঞ্জাম, খুচরা যন্ত্রাংশ বা আনুষঙ্গিকের উপর শুল্ক ছাড়, কাঁচামাল এবং সরবরাহসমূহের উপর ট্যাক্স ক্রেডিট পাবে প্লাস্টিক শিল্প। শিল্পের প্রয়োজনীয় মূল অবকাঠামো উন্নয়ন কাজেও প্রয়োজনীয় কর ছাড় প্রদান করা হবে বলে নীতিমালায় বলা হয়েছে। এছাড়াও প্লাস্টিক শিল্পখাতকে ভূমিভিত্তিক টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুৎ, উপযোগিতা সমূহসহ স্থানীয় পণ্য ও সেবাসমূহ ক্রয়ে ভ্যাট হ্রাস ও বন্ডেড ওয়্যার হাউস সুবিধা প্রদান করা হবে।
নীতিমালায় প্লাস্টিক শিল্পখাতে ১৫ শতাংশ হারে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্লাস্টিক ও প্যাকেজিং শিল্পের বাজার ২০২৮ সালের মধ্যে বিলিয়ন ডলার ও ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪.২১ শতাংশ রপ্তানি কমলেও বিগত অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে ৬.৬৭ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ২৬.২৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০.৯৮ কোটি ডলারে। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ১৬.৬২ কোটি ডলারের।
সূত্র : এনএনবি
Time news FB Link
মন্তব্য