ঢাকা সকাল ৯:২১, সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটূক্তি, কুষ্টিয়ায় পুলিশ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত জুলাই বিপ্লব নিয়ে ফেসবু‌কে আপ‌ত্তিকর‌ পোস্ট : কুষ্টিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আটক সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ভালো, নাকি মন্দ ভিপি নূর ও রাশেদ খাঁনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় মশাল মিছিল ফুলবাড়ী দৌলতপুরে জমি জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারপিট কুষ্টিয়ায় গৃহবধূর মরদেহ কবরস্থানে নেওয়ার প‌থে আটকে দিল পুলিশ স্বাধীনতার ৫৭ বছর পার হলেও ফুলবাড়ী জেলা বাস্তবায়িত হয়নি ঘোড়াঘাটে নিষিদ্ধ ঘোষিত ইউক্যালিপটাসের চারা ধ্বংস সাত সকালে পাবনায় বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৩ আইএইএ-কে সহযোগিতা স্থগিতের আইন কার্যকর হল ইরানে বন্দি তালিকা বিনিময় করল ভারত-পাকিস্তান জাপানকে ৩৫ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিলেন ট্রাম্প কুষ্টিয়ায় ব্যাটারি চালিত পাখি ভ্যানের চাপায় শিশুর মৃত্যু দুই মাসেই ইউক্রেইনের হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা গেদখলেল রুশ বাহিনীর অনলাইন ব্যবসা: অল্পপুঁজি, বিশাল সম্ভাবনা ‘আমার ভাইকে মেরে ফেলল’ অভিযোগ অভিনেত্রী মাহির তেলেঙ্গানায় রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১২ নির্মাণাধীন ভবনের কার্নিশ ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ নিহত ৩ কুষ্টিয়ার বড়বাজার-ঘোড়াই ঘাটে তিন টাকায় নৌকা পারাপারের দাবিতে মানববন্ধন ফুলবাড়ীতে স্বেচ্ছাসেবক নেতা নুরুল হুদা বাবুর গণসংযোগ দিনাজপুরে ট্রাক ও ট্যাংকলরী কার্ভাডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্টিত আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ হাবিল ও বল্টু গংদের বিরুদ্ধে বিচ্ছেদের গুঞ্জন, মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া মারা গেলেন ‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত শেফালী আফগানিস্তানে ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাস ঠেকাতে হবে: পাকিস্তান সেনাপ্রধান অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচি ঘোষণা ফুলবাড়ীতে জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীকে মারপিট কুষ্টিয়ায় মাদক চোরাকারবারি খুন, প্রায় ৯ কোটি টাকার মাদকদ্রব্যসহ হত্যাকারি আটক কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ নিহত ২  কুষ্টিয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

ফুসফুস প্রতিস্থাপনে নতুন জীবন পেলেন দুই মার্কিনি

আন্তজার্তিক ডেস্ক : আপডেটঃ বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩, ১:০৯ অপরাহ্ণ 93 বার পড়া হয়েছে

ফুসফুস প্রতিস্থাপনে নতুন জীবন পেলেন দুই মার্কিনি

পঞ্চাশ বছর বয়সী মনোবিজ্ঞানী ডেনিস ডিয়ার। তার ফুসফুসে প্রদাহ দেখা দিয়েছিল। এ প্রদাহের নাম পলিমায়োসাইটিস। ইলিনয়ের এই ব্যক্তির কাজ করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল। ফুসফুসের প্রদাহের কারণে তিনি কোনো কাজই স্বাভাবিকভাবে করতে পারছিলেন না। সামান্য হাঁটলেই হাঁফিয়ে উঠতেন। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। আমি ১০ পা-ও হাঁটতে পারছিলাম না। অক্সিজেনের জন্য হাঁসফাঁস করতে হয়েছে আমাকে।
এ অবস্থায় তার ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হবে। কিন্তু তিনি বাড়তি ঝামেলায় আছেন।

তার বুকে, পেটে যেসব অঙ্গ আছে, তার সবটাই এলোমেলোভাবে সাজানো। যেসব অঙ্গ ডানদিকে থাকার কথা, তা আছে বামদিকে। আবার বামদিকেরটা ডানদিকে। এসব নিয়ে অনলাইন সিএনএন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্যমতে, তার এই জেনেটিক সমস্যা সিটাস ইনভারসাস নামে পরিচিত। প্রতি ১০ হাজার মানুষের মধ্যে একজনের এমন অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে। ঘটনাটি মানবভ্রুণ সৃষ্টি সময় ঘটে। ভিন্ন প্রায় ১০০ জিনের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে এই ডিজঅর্ডার। নর্থওয়েস্টার্ন মেডিসিন ক্যানিং থেরাসিক ইনস্টিটিউটের থেরাসিক সার্জারির প্রধান এবং পরিচালক ড. অঙ্কিত ভরত বলেছেন, যখন ভ্রুণের বৃদ্ধিসাধন ঘটে এবং অঙ্গগুলো এলোমেলো অবস্থায় তৈরি হয় তখন তাতে জীবনের অস্তিত্ব না থাকলে সাধারণভাবেই গর্ভপাত হয়। স্বাভাবিকভাবে এমন ভ্রুণ থেকে মানবসন্তানের জন্ম নিলে তাতে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এলোমেলো অবস্থায় সাজানো থাকে এবং সেই সন্তান স্বাভাবিকভাবেই বড় হয়।
অনেক আগে মানুষ এসব বুঝতে পারতো না। কিন্তু বর্তমানে নিয়মিত মেডিকেল চেকের সময়ে এ বিষয়টি ধরা পড়ে। কেউ যদি তাদের হার্টবিটের শব্দ শুনতে চান, তাহলে বুকের বামপাশে তা খুঁজে পাবেন না। এমন অবস্থায় এক্সরে করতে হয়। তাতে দেখা যায় সব উল্টো।

আরও পড়ুন : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু

একই রকম আরেকজন রোগী ২৭ বছর বয়সী ইয়াহাইরা ভেগা। তার বসবাস শিকাগো থেকে প্রায় ৩৫ মাইল উত্তর-পশ্চিমে ইলিনয়ের এলগিন শহরে। ভেগা শ্বাসপ্রশ্বাসের জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনিও জন্মেছেন একই সমস্যা নিয়ে। ড. ভরত বলেছেন, সিটাস ইনভারসাস একটি বিরল অবস্থা। এর সঙ্গে আর একটি বিরল জটিলতা যুক্ত থাকে। এর জন্য কাউকে পুরো ফুসফুস প্রতিস্থাপনই করে ফেলতে হয়। এই বিরল অবস্থাটা পরিচিত প্রাইমারি সিলিয়ারি ডাইস্কিনেশিয়া বা পিসিডি নামে। ফুসফুসের ভিতর সিলিয়া নামের ক্ষুদ্র চুলের মতো স্ট্রাকচারের ত্রুটির ফলে সৃষ্টি হয়। শ্লেষায় আটকে থাকা জীবাণু এবং ময়লা আটকে রেখে তা বাতাসের চলাচলের পথে বাইরে বের করে দেয়। কিন্তু সিলিয়া যখন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না, তখন ফুসফুসের শ্লেষা বা কফ বের করতে পারে না। এতে ফুসফুসে ভয়াবহ এক অবস্থার সৃষ্টি হয়।

ভেগার অবস্থা আরও খারাপ হয়েছিল। তিনি বলেন, প্রতিদিন কাশি দিতে দিতে দম বন্ধ হয়ে আসতো। প্রচুর কফ উঠতো। ডিয়ারের মতোই ভেগাকে রাখা হয় ফুসফুস প্রতিস্থাপনের তালিকায়। এ চিকিৎসাটি জটিল। ড. ভরত বলেন ফুসফুসের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সরিয়ে তার স্থানে অন্য ফুসফুস প্রতিস্থাপন এবং তা কার্যকর রাখা এক কঠিন বিষয়। এক্ষেত্রে আমাদেরকে পুরনো ফুসফুস ফেলে দিতে হয়। একজন ডোনারের কাছ থেকে নতুন ফুসফুস নিয়ে সেখানে প্রতিস্থাপন করতে হয়। এটা করতে প্রথমে প্রযুক্তিগত মডিফিকেশন সম্পন্ন করতে হয়। কোনো রোগীর বুকের বাম পাশে রক্তের প্রবাহ সৃষ্টি করে সেখানে ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা খুবই জটিল একটি কাজ। এ জন্য থ্রিডি স্ক্যান করতে হয়। এরপর সঠিক স্থানে প্রতিস্থাপন করতে হয় ফুসফুস।

৯ মাস অপেক্ষা করার পর চিকিৎসকরা ভেগার জন্য ম্যাচিং করে এমন ডবল ফুসফুসের দাতা পেয়ে গেলেন। তারা ২৮শে এপ্রিল নর্থওয়েস্টার্ন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভেগার নতুন ফুসফুস প্রতিস্থাপন করেন। তারপর ভেগা সুস্থ। নতুন এক জীবন ফিরে পেয়েছেন তিনি। বলেন, আমার শরীর এখন নতুন। বিস্ময়কর লাগছে। আগের চেয়ে অনেক সুস্থভাবে কাজ করতে পারছি।
এর পরেই অপারেশন করা হয় ডিয়ারের। ২২শে মে তার বুকে স্থাপন করা হয় নতুন ফুসফুস। অপারেশনের পর তিনি যখন চেতনা ফিরে পান কোনো রকম সহায়তা ছাই তিনি স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারেন। বলেন, চেতনা ফিরে পেয়েই স্ত্রীকে বললাম- আমার অক্সিজেন জার কই? জবাবে স্ত্রী বললেন, তোমার আর বাড়তি অক্সিজেন প্রয়োজন নেই। আমি তাকে বললাম- আমাকে অক্সিমিটার দাও। সে আমার আঙ্গুলে লাগালো অক্সিমিটার। এতে রিডিং উঠলো ৯৯%। আমার কাছে সব কেমন মিরাকল মনে হলো। এখন আমি ও ভেগা আমরা বিস্ময়করভাবে হাঁটাচলা করতে পারছি।


সূত্র : এনএনবি
Time news FB Link

ট্যাগস : আন্তর্জাতিক

মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

Desk

আপলোডকারীর সব সংবাদ
শিরোনাম:
জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটূক্তি, কুষ্টিয়ায় পুলিশ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত জুলাই বিপ্লব নিয়ে ফেসবু‌কে আপ‌ত্তিকর‌ পোস্ট : কুষ্টিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আটক সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ভালো, নাকি মন্দ ভিপি নূর ও রাশেদ খাঁনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় মশাল মিছিল ফুলবাড়ী দৌলতপুরে জমি জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারপিট কুষ্টিয়ায় গৃহবধূর মরদেহ কবরস্থানে নেওয়ার প‌থে আটকে দিল পুলিশ স্বাধীনতার ৫৭ বছর পার হলেও ফুলবাড়ী জেলা বাস্তবায়িত হয়নি ঘোড়াঘাটে নিষিদ্ধ ঘোষিত ইউক্যালিপটাসের চারা ধ্বংস সাত সকালে পাবনায় বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৩ আইএইএ-কে সহযোগিতা স্থগিতের আইন কার্যকর হল ইরানে বন্দি তালিকা বিনিময় করল ভারত-পাকিস্তান জাপানকে ৩৫ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিলেন ট্রাম্প কুষ্টিয়ায় ব্যাটারি চালিত পাখি ভ্যানের চাপায় শিশুর মৃত্যু দুই মাসেই ইউক্রেইনের হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা গেদখলেল রুশ বাহিনীর অনলাইন ব্যবসা: অল্পপুঁজি, বিশাল সম্ভাবনা ‘আমার ভাইকে মেরে ফেলল’ অভিযোগ অভিনেত্রী মাহির তেলেঙ্গানায় রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১২ নির্মাণাধীন ভবনের কার্নিশ ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ নিহত ৩ কুষ্টিয়ার বড়বাজার-ঘোড়াই ঘাটে তিন টাকায় নৌকা পারাপারের দাবিতে মানববন্ধন ফুলবাড়ীতে স্বেচ্ছাসেবক নেতা নুরুল হুদা বাবুর গণসংযোগ দিনাজপুরে ট্রাক ও ট্যাংকলরী কার্ভাডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্টিত আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ হাবিল ও বল্টু গংদের বিরুদ্ধে বিচ্ছেদের গুঞ্জন, মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া মারা গেলেন ‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত শেফালী আফগানিস্তানে ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাস ঠেকাতে হবে: পাকিস্তান সেনাপ্রধান অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচি ঘোষণা ফুলবাড়ীতে জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীকে মারপিট কুষ্টিয়ায় মাদক চোরাকারবারি খুন, প্রায় ৯ কোটি টাকার মাদকদ্রব্যসহ হত্যাকারি আটক কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ নিহত ২  কুষ্টিয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট