সব
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার
যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র নিখুঁত নয় বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সেখানেও ভোটে কারচুপি হয়। গতকাল শনিবার গাজীপুরের টঙ্গীর কলেজ গেইট এলাকায় এক আয়োজনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সেখানে যান গাজীপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলমান বিআরটি প্রকল্পে উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর কলেজ গেইট পর্যন্ত এলিভেটেড অংশের কাজ দেখতে।
আরও পড়ুন : ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু একদিনে সর্বোচ্চ ৪৭৭ রোগী ভর্তি
বাংলাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এর জন্য দায়ী ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের ভিসা না দেওয়ার বিষয়ে আমেরিকার ঘোষণা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের সে দেশে সবশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, “ভিসানীতি তারা (আমেরিকা) করুক। তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। ভিসানীতি আমাদেরও থাকতে পারে, আমরাও করতে পারি। অপেক্ষা করছি।”
২০২০ সালের ডিসেম্বরের আগের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে জো বাইডেনের নির্বাচিত হওয়ার পর সে দেশে সংঘাত হয়, তা নিয়ে কাদের বলেন, “তিনি (ট্রাম্প) এখনও গত নির্বাচনের রেজাল্ট মেনে নেননি। তাদের ডেমোক্রেসি নিয়ে প্রশ্ন আছে দুনিয়ার দেশে দেশে।”
ট্রাম্প আবার ভোটে দাঁড়াতে চাচ্ছেন। তবে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলার বিচার শুরু হয়েছে যেগুলোর কারণে তার ভোটে অংশ নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন আছে।
এ নিয়ে কাদের বলেন, “ট্রাম্প বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে ‘ফর স্টিলিং (চুরি) অ্যান্ড রিগিং (কারচুপি) ইলেকশন।” তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে বিএনপি ভোটে না এলেও দলটির অনেক নেতা-কর্মীই নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী বলেও দাবি করেন কাদের। বলেন, সেই নেতা-কর্মী কারা, তা সময় এলেই বলবেন।
বিএনপির আন্দোলন ও ভোটে না আসার হুমকি নিয়ে কাদের বলেন, “তাদের নেতা-কর্মীদের অনেকেই নির্বাচনে আগ্রহী। এ খবর আমার কাছে আছে।” কারা আগ্রহী, সেই বিষয়টি এখনই প্রকাশ করতে চান না তিনি। বলেন, “এগুলো এভাবে প্রকাশ করা যায় না। সময় আসলে বলব।” বিএনপি আন্দোলনের যে হুমকি দিয়েছে, তাকে পাত্তা দিচ্ছেন না আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, “গত ১৪ বছর ধরে এক কথা শুনছি, এ সরকার থাকতে পারবে না। সরকারকে বিদায় নিতে হবে, তারা আন্দোলন করে বিদায় দেবে।
“কিন্তু আন্দোলনটা কার বিরুদ্ধে? সরকারের বিরুদ্ধে? আন্দোলনটা তারা কাকে নিয়ে করবে? জনগণকে নিয়ে? গত ১৪ বছরে তারা তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য দর্শনীয় একটা মিছিল তারা করতে পারেনি, একটা বিক্ষোভ রাজপথে তারা দেখাতে পারেনি। “সরকার হটানোর জন্য দেশে একটা আন্দোলন, গণঅভ্যূত্থান কিছুই করতে পারেনি। তারা বলেছে ডিসেম্বরের ১০ তারিখ থেকে নাকি বেগম জিয়া দেশ চালাবে।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কথা উল্লেখ করে কাদের বলেন, “বিদেশে পলাতক কোনো নেতার রিমোট কন্ট্রোল আহ্বানে জনগণের সম্পৃক্তিতে বাংলাদেশে আন্দোলন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বহু চেষ্টা করেও দেখেছেন আন্দোলন যাকে বলে তারা এখন পর্যন্ত তা প্রমাণ করতে পারেনি।”
মন্ত্রী বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “দুর্নীতি ও দুঃশাসন বললেই বিএনপির নাম উচ্চারণ করতে হয়। তারাই এখন দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কথাটা কোন মুখে এত বেশি করে বলছে আমরা ঠিক জানি না।
“বিএনপি ইলেকশন করতেই দেবে না। বদরুদ্দিন ওমর সাহেবরাও মাঠে নেমেছেন। তাদের পরামর্শ দিচ্ছেন। ইলেকশন করতে দেবে না”, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
সূত্র : এনএনবি
মন্তব্য