সব
ঈদ সামনে রেখে জমজমাট নতুন টাকার খোলাবাজার
ঈদকে সামনে রেখে নতুন টাকার পসরা বসিয়েছেন খোলাবাজারের ব্যবসায়ীরা। তাদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে ২ থেকে ২০০ টাকার নোট। প্রতি বান্ডিল টাকায় বাড়তি ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দিতে হচ্ছে। গুলিস্তান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অস্থায়ী বাজারে এ নতুন টাকা বিক্রি বেড়েছে। ক্রেতাদের অভিযোগ- ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত অর্থ রাখছেন নতুন টাকার বিনিময়ে।
শনিবার (২৪ জুন) রাজধানীর গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ টাকা বিক্রেতারা ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০ ও ২০০ টাকার নতুন নোট বিক্রি করছেন। এক বান্ডিল টাকা কিনতে হলে ক্রেতাকে অতিরিক্ত ১০০-১৭০ টাকা পর্যন্ত বেশি গুনতে হচ্ছে। এসব বাজারে ২ টাকার এক বান্ডেলে বাড়তি ২০০ টাকা রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : দেশি পেঁয়াজ এখনও ৮০ টাকা
আর ৫ টাকার এক বান্ডিলের জন্য ১৫০-১৭০ টাকা, ১০ টাকার এক বান্ডিল ১০০-১২০ টাকা, ২০ টাকার এক বান্ডিলে ১২০-১৪০ টাকা, ৫০ টাকার এক বান্ডিলে ১৭০ টাকা, ১০০ টাকার এক বান্ডিলে ১৫০ টাকা এবং ২০০ টাকার এক বান্ডিলের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা দিতে হচ্ছে।
নতুন টাকার দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে। বিক্রেতারা বলছেন, বছরব্যাপী কোনো টাকা বিক্রি হয় না। প্রতিবারেই শেষ সময়ে একটু বেশি রাখা হয়। এ দাম আহামরি কিছু না। সচরাচর দামেই বিক্রি হচ্ছে।
তবে ক্রেতারা বলছেন, বছরের অন্য সময়ে এক বান্ডিল নতুন টাকা নিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন ২০০ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে।
গুলিস্তানে ভ্রাম্যমাণ টাকা বিক্রেতা হাসান মিয়া বলেন, বছরের অন্যান্য সময় অনেকটা অলস সময় পার করতে হয়। কোনো বেচা-বিক্রি থাকে না। ছেড়া-ফাটা টাকার ব্যবসা হয়। ঈদ এলে সবাই আনন্দে থাকেন। খুশি মনেই ক্রেতারা বাড়তি টাকা দেন।
গুলিস্তানে নতুন টাকা কিনতে আসা মুরাদ হোসেন বলেন, গত ঈদে আমি বাড়িতে যেতে পারিনি, এবার যেতে চাই। গ্রামে গেলে ছোটরা নতুন টাকা চেয়ে বসেন। এ কারণে নতুন টাকা নিতে এসেছি, ব্যাংকে অনেক ভিড়। তাই ফুটপাতই আমার ভরসা।
সূত্র : এনএনবি
Time news FB Link
মন্তব্য