সব
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি তৃণমূল থেকে দল ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে আরও শক্তিশালী করার এবং জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস বজায় রাখতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তৃণমূল থেকে প্রতিটি সংগঠনকে পুনর্গঠন করুন। কারণ, আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা বাংলাদেশের কল্যাণের কথা চিন্ত করে। শেখ হাসিনার ৪২ বছর আগে দেশে ফেরা উদযাপন উপলক্ষে গণভবনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দের তাঁকে দেয়া ফুলেল শুভেচ্ছার জবাবে তিনি এই আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে এবং এই দলটির মাধ্যমেই দেশের প্রতিটি অর্জন এসেছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন এবং এটি জনগণের জন্য কাজ করবে, এটাই আমাদের একমাত্র অঙ্গীকার।’
বাকি দলগুলোকে লুটেরা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা কখনোই জনগণের কল্যাণে কাজ করে না। তাই সন্ত্রাসী, খুনি বা যুদ্ধাপরাধীদের দল যাতে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে-সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে-ভোট চোর ও ডাকাতরা এখন দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছে। তিনি বলেন, ‘এখন আমাদেরকে তাদের (ভোট চোরদের) কাছ থেকে গণতন্ত্রের পাঠ শুনতে হবে।
আরো বলেন, তিনি নির্বাচনে কারচুপির লক্ষ্যে বিএনপি-জামাত জোট দেশে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারসহ ভোটার তালিকা প্রস্তুত করেছিল। তিনি বলেন, ‘জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরা সব সময়ে তাদের পাশে থাকব। আমরা তাদের জন্য আমাদের কাজ অব্যহত রাখব। ‘আমরা জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সর্বদা তাদের পাশে থাকব। আমরা যেভাবে তাদের আস্থা অর্জন করে ক্ষমতায় এসেছি, ঠিক তেমনি আমরা তাদের জন্য আমাদের কাজ করে যাব।’
তিনি বলেন, তাঁর দল জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও জনপ্রিয়তা সফলভাবে ধরে রেখেছে। যদিও ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এতো দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকে জনগণের আস্থা ধরে রাখা প্রায় অবম্ভব একটি ব্যাপার।
তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনের উদাহরণ টেনে বলেন, ওই নির্বাচনে বিএনপি-জামাত জোট মাত্র ২৯টি আসন পায়। অবশিষ্ট আসন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট পায়। এটাই প্রমাণ করে যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যে একই-এমন ধারণা ভুল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আমাদের ধরে রাখতে হবে। দেশের মানুষের এই বিশ্বাস ও আস্থাই আমাদের একমাত্র শক্তি। এটা ছাড়া আমাদের আর কোন শক্তি নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। আর এই উন্নয়নশীল দেশের অবস্থান ধরে রাখতে আমাদের আরো সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
সূত্র : বাসস
মন্তব্য