সব
কুষ্টিয়ার প্রকৌশলী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা
প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ফেঁসে গেলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের কুষ্টিয়া সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং তার স্ত্রী ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের প্রভাষক ডা. জোবাঈদা শাহনূর রশীদ।
নিজেদের অবৈধ সম্পদকে বৈধ করার নানা কৌশল গ্রহণ করেও শেষ রক্ষা হয়নি। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই অবৈধ সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানিলন্ডারিং আইনে দায়ের করা পৃথক দুই মামলার আসামি হয়েছেন।
আরও পড়ুন : দিনাজপুরে নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হক বাদী হয়ে মামলা দুইটি দাখিল করেছেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল সিরাজগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়ার সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসাবে কাজ করছেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে ধরা পরায় দুদক থেকে ২০২২ সালের ২৩ জুন তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৬ আগস্ট পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। যেখানে তিনি স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ২ কোটি ২১ লাখ ৯৮ হাজার ৩৯২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে মোট ৩ কোটি ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৭৩ টাকার সম্পদের তথ্য প্রমাণ মেলে। অর্থাৎ এখানে তিনি ৯১ লাখ ১৩ হাজার ৮১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বা মিথ্যা তথ্য দাখিলের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে প্রকৌশলী মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি আর কথা বলতে চাচ্ছি না, আমার আর ভালো লাগছে না । আমার কোন বক্তব্য নাই । আমার এত টাকার মামলাও নাই, সম্পদও নাই, কিছুই নাই । আমার সব কিছু ট্রাক্স ফাইলে দেখানো আছে ।
মন্তব্য