সব
গৃহবধূর শরীরে ইস্ত্রির ছ্যাঁকা
গাইবান্ধায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে মরিয়ম বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূকে ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। আহত ওই গৃহবধূ বর্তমানে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৪ জুন বিকেলে সদর উপজেলার বাদিয়খালী ইউনিয়নের তালুক রিফায়েতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা হলেন- মরিয়মের স্বামী রাশেদ সরকার (৩০), শ্বশুর ফারুক সরকার (৫৫) ও শাশুড়ি রাশেদা বেগম (৫০)।
আরও পড়ুন : হবিগঞ্জে লোডশেডিং ও গাছ কাটার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
বর্তমানে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ওই গৃহবধূ। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে গাইবান্ধা সদর থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, আড়াই বছর আগে রাশেদ-মরিয়মের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মরিয়মের পরিবারের পক্ষ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। পরে তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। পরবর্তীতে পরিবারের কুমন্ত্রণায় স্বামী রাশেদ ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। দিতে না পারায় রাশেদ বিভিন্ন সময়ে মরিয়মের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। এর একপর্যায়ে গত ২ মাস আগে আবারো যৌতুকের টাকা আনতে বললে তাতে মরিয়ম অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারপিট করে এক কাপড়ে কোলের শিশু সন্তানসহ বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। তখন থেকেই স্ত্রী মরিয়ম তার বাবার বাড়িতেই অবস্থান করছিল।
চিকিৎসাধীন মরিয়ম বেগম বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন থেকেই যৌতুকের দাবিতে আমাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করছিল। বিভিন্ন সময়ে অন্যত্র বিয়ে করে আমাকে তালাক দেওয়ার হুমকি-ধমকিও দিত। সংসারের চিন্তা করে চাপা কষ্টে সব মেনে চলছিলাম। কিন্তু সেদিন আমি মারাও যেতে পারতাম। পোড়া জায়গাগুলোতে অনেক যন্ত্রণা করে।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তানভীর রহমান কল্লোল জানান, ওই গৃহবধূ এখন আশঙ্কামুক্ত, তার চিকিৎসা চলছে। গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
মন্তব্য