সব
গাজীপুরে লাথি-ঘুষির পর শ্রমিক নেতার মৃত্যু
গাজীপুরে শ্রমিক অসন্তোষ সামাল দিয়ে ফেরার পথে কিল, ঘুষি ও লাথিতে আহত এক শ্রমিক নেতা মারা গেছেন; আহত হয়েছেন আরও দুইজন। রোববার রাতে মহানগরের সাতাইশ এলাকার প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেডের কারখানা ফটকে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে কারা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে তা জানা যায়নি।
বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় আইন ও সিবিএ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান জানান, নিহত শহিদুল ইসলাম গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী এলাকার আজগর আলীর ছেলে। তিনি বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। আহতরা হলেন তার সহকর্মী মো. মোস্তফা কামাল (২৫) ও আহমেদ শরীফ (৩৫)। তাদের স্থানীয় তায়রুন্নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : নাটোরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে লাখ টাকা ছিনতাই
শ্রমিক নেতা আসাদুজ্জামান আরও জানান, রোববার গাজীপুর মহানগরের সাতাইশ এলাকার প্রিন্স জেকার্স সোয়েটার লিমিটেড নামের তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের চলতি মাসসহ দুই মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। ঈদের বোনাসও দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ চলে আসছিল। এ খবর পেয়ে শ্রমিক পক্ষ থেকে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাট্রায়াল ওয়ার্কাস ফেডারেশনের গাজীপুর শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম মালিক পক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি জানান, রোববার শ্রমিকদের বকেয়া এবং ঈদ বোনাস দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সারাদিন অপেক্ষা করিয়ে বেতন বোনাস তারা দেয়নি। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের শহিদুল ও তার সঙ্গীরা আশ্বাস দেন, আগামীকাল শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে তারা কলকারখানার ডিআইজি স্যারের কাছে যাবেন। “শ্রমিকদের সান্ত¡না দিয়ে রাত ৮টার দিকে শহিদুল ইসলামসহ ওই তিন শ্রমিক নেতা কারখানা থেকে বের হয়ে প্রধান ফটকের সামনে যাওয়ার পর ১০/১২ জনের একটি দল তাদের উপর্যুপরি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে।” তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় তায়রুন্নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শহিদুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, তাকে হামলা ও মারধর করে হত্যা করা হয়েছে, নাকি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তিনি বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য তায়রুন্নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।
মন্তব্য