ঘোড়াঘাটে শিক্ষকের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চেতনানাশক প্রয়োগ করে রানীগঞ্জ সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক উৎপল সরকারের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার কশিগাড়ি গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, স্মার্ট টিভি, ল্যাপটপসহ আরো অন্যান্য জিনিস লুট করে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন : বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির মিথ্যা মামলা দায়েরকারীদের বিচারের মুখোমোখি করতে হবে

শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার জানান, ৫ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) স্কুলে যাওয়ার সময় আমি নিজেকে অসুস্থ্যবোধ করি। স্কুলে গিয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আমার সহকারীরা আমাকে বাসায় নিয়ে আসে। ঐ অবস্থায় আমি শুয়েপরি এমতাবস্থায় রাত সাড়ে ৩ টার দিকে আমার মেয়ের শোবার ঘর থেকে ডাক চিৎকার শুনে আমার ঘর থেকে বের হয়ে ঘটনার বিষয়ে মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে, আমার মেয়ে উপমা সরকার (১৬) জানায়, মুখোশ পরিহিত ডাকাত দলের ৫ জন সদস্য আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাকে ডেকে তুলে আমার হাত, পা কাপড় দিয়ে বাধে এবং বলে তোমার বাবা মা কে চেতনানাশক প্রয়োগ করা হয়েছে চিৎকার চেঁচামেচি করলে তোমাকে সহ তোমার বাবা মা কে মেরে ফেলা হবে। উপমা আরো জানায়, ডাকাতরা বাড়ীর ভিতরে ছিল ৫ জন এবং মূল গেটের দরজায় ছিল ২ জন। তারমধ্যে একজন ছিল বয়স্ক।

এরপর ডাকাত সদস্যরা আমার মেয়ের হাতের ব্যাচ ও পায়ের নূপুর সহ বাড়ি থেকে প্রায় দেড় ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫০ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল ফোন, ১টি ল্যাপটপ ও স্মার্ট টিভি নিয়ে আমার মেয়েকে বেঁধে রেখে চলে যায়।

ঘোড়াঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক ভাবে তদন্ত করা হয়েছে। আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পুরোপুরি তদন্ত শেষে ঘটনার বিষয় বিস্তারিত জানা যাবে।

FB Page Link