সব
বিশাইনাথপুর (ডেওয়াগাড়ী) রাহিলা খাতুন দারুঃ হাঃ কওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানা
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্তৃক সমাজের এতিম এবং দুস্থ্য শিশুদের সহায়তায় প্রতিমাসে এক জন শিশুর জন্য দুই হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধনকৃত বেসরকারী এতিমখানার নীতিমালা অনুযায়ী নূন্যতম ১০ জন এবং ৬-১৮ বছর বয়সী এতিম এবং দুস্থ্য অবস্থান করে এরকম প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ ৫০% এতিমের জন্য ক্যাপিটেশন গ্রান্ট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছর হতে শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু ২০০০/- সরকারী অনুদান দেওয়া হয়।যার বিভাজন : খাদ্য বাবদ ১৬০০/-পোশাক বাবদ ২০০/- এবং চিকিৎসা ও অন্যান্য বাবদ ২০০/- টাকা। বাস্তব চিত্র ঘোড়াঘাটে একদম বিপরীত।
আরও পড়ুন : আয়নাঘরের মূল হোতা আমি? এসব কীভাবে বানান: জিয়াউল আহসান
সমাজসেবা অফিসের তথ্য অনুযায়ী ঘোড়াঘাট উপজেলায় মোট ২৪ টি এতিম খানা এবং লিল্লাহ বোর্ডিং মাদ্রাসায় ক্যাপিটেশন ফান্ড চালু রয়েছে। তার মধ্যে কিছু মাদ্রাসার অবস্থা নাজুক। সরকারী কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অসাধু কিছু ব্যক্তির সহায়তায় সরকারী অনুদান আত্নসাৎ করা হচ্ছে।
তন্মধ্যে অন্যতম বিশাইনাথপুর (ডেওয়াগাড়ী) রাহিলা খাতুন দারুঃ হাঃ কওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানা। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ১৪৩ জন শিক্ষার্থীর ক্যাপিটেশন ফান্ড পায়। নিয়ম অনুয়ায়ী তার মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী থাকার কথা ২৮৬ জন,কিন্তু সরেজমিনে এবং স্থানীয় অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, ঐ মাদ্রাসাতে নিয়মিত ছাত্র /ছাত্রী সংখ্যা ৬০-৭০ জন।
আরো বলেন মাদ্রাসায় যখন কোন অফিসার পরিদর্শন করতে আসে তখন আশে পাশের গ্রাম থেকে কিছু সময়ের জন্য ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে আসা হয়। এভাবে ছাত্র/ছাত্রীদের নামে বরাদ্দকৃত লক্ষ লক্ষ টাকা মুহতামিম আত্নসাৎ করে।
অনিয়মের বিষয়ে মাদ্রাসার মুহতামিম আইনুল ইসলামকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, এ বিষয়ে কোন সাংবাদিকের সাথে কথা বলা যাবে না, ডিডি সাহেবের সাথে কথা বলতে হবে।
মাদ্রাসাটির অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আ: আউয়াল কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদারকি করা হবে।
মন্তব্য