সব
বাসায় ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা
পরকীয়া প্রেমিকের সাথে টাকা নিয়ে টানাপড়েনে নোয়াখালীতে মা-মেয়েকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সুধারাম মডেল থানা প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গরুর ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ২
নিহতরা হলেন, নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফজলে আজিম কচি মিয়ার স্ত্রী নূর নাহার বেগম (৪০) ও তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী ফাতেমা আজিম প্রিয়ন্তী (১৬)।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি বলেন, ভুক্তভোগী নূর নাহার বেগমের সাথে প্রবাসে থাকা অবস্থায় রং নম্বরের সূত্র ধরে পরিচয় হয় আসামি আলতাফের। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ভুক্তভোগী আলতাফকে ওমান থেকে দেশে এসে ব্যবসা করার জন্য বলে এবং ব্যবসার সম্পূর্ণ মূলধন বহন করার আশ্বাস দেয়। নূর নাহারের আশ্বাসে গত ১ সপ্তাহ আগে আসামি ওমান থেকে ভিসা বাতিল করে সব ছেড়ে দেশে চলে আসে। দেশে এসে আলতাফ নূর নাহারের বাসায় ৪-৫ বার গিয়ে ব্যবসার টাকা দেয়ার জন্য বললে গৃহবধূ নুর নাহার ব্যবসার টাকা দিতে টালবাহানা করতে থাকে। বুধবার ১৪ জুন সকাল ১০টার দিকে পুনরায় টাকা চাওয়ার জন্য গেলে নূর নাহার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এসপি আরও বলেন, এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে টাকা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে আলতাফকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয় ওই গৃহবধূ। এরপর ওই প্রবাসীকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিতে উদ্যত হয় সে। এতে আলতাফ ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে ওই গৃহবধূকে উপর্যুপরি আঘাত করে। এ সময় মেয়ে ফাতেহা আজিম প্রিয়ন্তী (১৬) মায়ের চিৎকার শুনে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে গেলে আলতাফ তাকেও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে প্রিয়ন্তী দৌড়ে নিচ তলার ভাড়াটিয়ার বাসার দরজায় ধাক্কা দিলে ভাড়াটিয়া দরজা খুলে দেয়। দরজা খোলার সাথে সাথে প্রিয়ন্তী ডাইনিং রুমের মেঝেতে অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়ে। প্রিয়ন্তীর পিছু পিছু প্রবাসী আলতাফ পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত আলতাফ হোসেনকে থানা হেফাজতে নিয়ে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি পুলিশের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানায়।
মন্তব্য