সব
ফুলবাড়ীতে ধান রোপন করাকে কেন্দ্র করে গাড়ী ভাংচুর ও মারপিট করেন
ফুলবাড়ী উপজেলার স্বজনপুকুর গ্রামে মোছাঃ সুরমী আক্তারের বাড়ীতে প্রতিপক্ষ মোঃ মকলেছার রহমান গংরা বাড়ীতে ঢুকে পাওনা টাকার জন্য পরিবারের সকলকে মারপিট করেন। ফুলবাড়ী উপজেলার স্বজনপুকুর গ্রামের মোঃ সাহাজুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ সুরমী আক্তার গত ২৫/০১/২০২৫ইং তারিখে ফুলবাড়ী থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শাজেদা বেগম তার নিকট থেকে লটারী খেলা বাবদ ৩১,৫০০/- টাকা পাবে। শাজেদা বেগম সুরমী আক্তারের কাছ টাকা চাহিতে আসিলে সুরমী আক্তার দুই এক দিনের সময়ে চাইলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শাজেদা বেগম সকল কে ডেকে সুরমী আক্তারের বাড়ীতে আসিয়া অকথা ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে এবং সুরমী আক্তারের গোয়াল ঘর থেকে গরু বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন : ঘরে কিশোরীর রক্তাক্ত মরদেহ, পাশে গুরুতর আহত মা
এ সময় সুরমী আক্তার বাধা প্রদান করলে মোঃ মকলেছার সুরমী আক্তারের গালে মুখে চড় থাপ্পর মারিতে থাকে। তখন তার ছোট মেয়ে শিফা (০৮), আগাইতে আসলে মোছাঃ শিমু তার মেয়েকে ধাক্কা মারে এবং তার মেয়ে কোদালে গিয়ে পডে কোদালের আগাল লেগে তার বাম হাত কেটে যায়। মোঃ মকলেছার রহমান গোয়াল ঘর থেকে গরু বের করার সময়ে সুরমী আক্তার গরুর দড়ি ধরিয়া থাকিলে মোঃ মিজু তার পরনের ওড়না ও জামা ধরে টানাহেচড়া করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তিনি গরুর দড়ি ছেড়ে না দেওয়ায় মোঃ মিজু তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলিয়া দেয়। এতে তার শীলতাহানী ঘটে এবং বাম পায়ে গুরুতর জখম হয়।
সুরমী আক্তারের চেচামেচিতে স্থানীয় লোকজন ঘটনস্থলে ছুটে আসেন। এসময় প্রতিপক্ষরা তার কোন কথা না শুনে সুরমী আক্তারের গলা থেকে ১৪ আনা ওজনের সোনার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সুরমী আক্তার নিরুপাই হয়ে ৯৯৯ এ ফোন করলে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ঐ দিনেই ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন। এবং প্রতিপক্ষদেরকে বাড়ীথেকে বের করে দেন। এই ঘটনায় মোছাঃ সুরমি আক্তার ৫জনকে অভিযুক্ত করে ফুলবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ফুলবাড়ী থানার পুলিশ জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষপে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য