সব
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের কারণে ১২টি গ্রামের ঘরবাড়ী ফাটলে এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের কারণে ১২টি গ্রামের ঘরবাড়ী ফাটলে এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটি।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মোঃ গোলাম মোস্তফা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, কয়লা খনির কারণে ঘরবাড়ীতে ফাটল সৃষ্টি হলে গত ০৫/১১/২০২৩ইং, ২১/০১/২০২৪ইং, ১২/০২/২০২৪ইং, ২২/০২/২০২৪ইং, ২২/০৮/২০২৪ইং এবং ০৮/০৯/২০২৪ইং তারিখে আমরা সংগঠনের পক্ষথেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ জানাই, আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো সার্ভারের মাধ্যমে পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরও পড়ুন : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর আইনজীবীর বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ দগ্ধ ২
তিনি সংবাদ সম্মেলনলে আরও জানান খনি কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। আমরা ছয় দফা চুক্তির কথা বলেছিলাম সেই ছয় দফা চুক্তি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। ছয় দফা চুক্তির মধ্যে রয়েছে কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার হতে চাকরি দেওয়ার কথা, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বারোটি গ্রামের বাড়ী ঘর ফাটল কাঁপুনি ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে তাদের দ্রুত পুনর্বাসন করতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ভূমিহীন প্রতিটি পরিবারকে মাইনিং সিটি অথবা উন্নত মানের বাসস্থান তৈরি করে দিতে হবে, ক্ষতিগ্রস্তদের অবশিষ্ট ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের সুপ্রিয় প্রাণীর ব্যবস্থা করতে হবে এবং মসজিদ মন্দির স্কুল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরি করে দিতে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের যাদের জমি থেকে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে তাদেরকে কয়লা উৎপাদনের বোনাস পাসেন্ট দিতে হবে। কিন্তু গত ৩০ বছরে কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ বৈগ্রাম সহ অন্যন্যা গ্রামগুলির অফুরন্ত যে ক্ষতি হয়েছে তার কিছুই পায় নি। খনি কর্তৃপক্ষ এই এলাকার মানুষকে বোকা বানিয়েছে। তাই আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্ঠা মন্ডলীর কাছে ন্যায় দাবী জানাচ্ছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল বেরুনী, সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম, আব্দুর রহমান বাচ্চু, গোলাম রব্বানী, মনিরুজজ্জামান, সাইফুল ইসলাম, আলী হোসেন, রবিউল ইসলাম মন্ডল, সাতার ইকবাল নয়ন, আবেদ আলী, সাইফুল ইসলাম সরকার, রেজাউল ইসলাম সহ সংগঠনের শতাধিক সদস্য। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন যদি আমাদের দাবিসমূহ বাস্তবায়ন না হয় তাহলে আগামী ০৬/১১/২০২৪ইং তারিখে আমরা কয়লাখনি চত্ত্বর এলাকায় অবস্থান কর্মসূচী করতে বাধ্য হব ।
মন্তব্য