সব
বিএটি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া কারখানা ফের সচল
শ্রমিক অসন্তোষ ও অনিশ্চয়তার এক মাস পর বিএটি বাংলাদেশের (বিএটিবি) কুষ্টিয়ার পাতা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা (গ্রিন লিফ থ্রেশিং প্লান্ট) ২২ মে (বৃহস্পতিবার) পুনরায় চালু হয়েছে । এ সিদ্ধান্তে অর্থনীতিকে বড় ধাক্কা থেকে রক্ষা করা হলো এবং কৃষক ও মৌসুমি শ্রমিকদের মুখে ফিরল হাসি।
কারখানা পুনরায় চালুর ঘোষণার পর কৃষক, মৌসুমি শ্রমিক, জিএলটিপি কারখানার কর্মচারী এবং এই কারখানার ওপর নির্ভরশীল অন্যান্যরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিএটি বাংলাদেশের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট অংশীজন এবং মৌসুমি শ্রমিকদের মধ্যে একাধিক আলোচনার পর অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে একটি সম্মানজনক সমাধানে পৌঁছানো হয়েছে। ফলস্বরূপ, ২২ মে (বৃহস্পতিবার) থেকে কারখানায় আবারও কাজ শুরু হয়েছে, যা কুষ্টিয়ার স্থানীয় অর্থনীতি ও জীবিকার গতি ফিরিয়ে আনবে।
কারখানাটির দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার কারণে পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্থির হয়ে উঠেছিল, যা অর্থনীতি এবং বহু মানুষের জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলেছিল। কারখানা পুনরায় চালুর সিদ্ধান্তে সকলেই আনন্দিত। সকল মৌসুমি শ্রমিক, কৃষক এবং অংশীজনদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই অস্থিরতার সমাধান করে কারখানা পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়েছে।
ইতোমধ্যে তামাক সংগ্রহের মৌসুম শুরু হওয়ায় এক মাসের এই বিরতির কারণে রপ্তানি লক্ষ্য পূরণ নিয়ে সংশয় তৈরি করেছিল। কুষ্টিয়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের প্রায় ৫০,০০০ কৃষক চরম চাপের মধ্যে ছিলেন। এই সংকটময় সময়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা দেশের অর্থনীতিকে আরও বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা করেছে।
মন্তব্য