সব
বিএনপি না এলেও অনেক দল ভোটে আসতে প্রস্তুত: কাদের
তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনোভাবেই হবে না জানিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বর্জন করলেও ভোটে অনেক দল অংশ নিতে প্রস্তুত আছে। আর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক’।
ঢাকায় আসা যুক্তরাষ্ট্রের দুই কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে বৈঠকের পরদিন সোমবার বনানীর সেতু ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সড়ক মন্ত্রী বলেন, “কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না, প্রধানমন্ত্রীও পদত্যাগ করবেন না। বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন হবে না। অনেকদল আছে নির্বাচনে আসার, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে।”
উচ্চ আদালতের রায়ে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন বিএনপি ও সমমনারা বর্জন করেছিল। একতরফা সেই নির্বাচনে ১৫৩ আসনে সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
আরও পড়ুন : বুয়েটের তত্ত্বাবধানেই প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা
বিএনপি ও তার জোটের শরিকরা একাদশ সংসদ নির্বাচনে এলেও এবার ফের তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে আন্দোলনে নেমে ভোট বর্জনের আগাম ঘোষণা দিচ্ছে। এক দশক আগের অবস্থানে গিয়ে ভোট ‘হতে না দেওয়ার’ ঘোষণাও এসেছে।
তাদের দাবি, ভোট হতে হবে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, পুনর্গঠন করতে হবে নির্বাচন কমিশন।
তবে সরকার সংবিধানের বিধান অনুযায়ী ভোটে অনঢ়। পশ্চিমা শক্তিশালী যে রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলছে, তাদেরকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভোটে অংশগ্রহণ করা কোনো দলের ইচ্ছা অনিচ্ছার বিষয়।
সমঝোতার জন্য সংবিধানে নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিবর্তনের সুযোগ আছে কি না প্রশ্নে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, “হাওয়া থেকে পাওয়া এ রকম অনেক দিবাস্বপ্ন বিএনপির আছে। দিবাস্বপ্ন দিবাস্বপ্নই। নো কেয়ারটেকার, নো পিএম রিজিগনেশন, নো ডিসজলুশন অব পার্লামেন্ট। সাংবিধানিক এসব ব্যাপারে পরিবর্তনের সুযোগ নেই।”
যুক্তরাষ্ট্রের দুই কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বৈঠক নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “কোনো বিদেশি বন্ধু, কংগ্রেসম্যান তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদের বিলুপ্তি নিয়ে কথা বলেনি।”
বিএনপির আন্দোলনের হুমকির বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলেন, “আওয়ামী লীগ সমাবেশ করলে সেটি হয় মহাসমাবেশ। আর বিএনপি মহাসমাবেশ করলে সেটি হয় সমাবেশ। ফখরুল সাহেব দিবা স্বপ্ন দেখেন।
“এই দিবা স্বপ্নে কিছু হবে না। এর আগেও তারা ১০ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী আর ১১ ডিসেম্বর তারেক রহমানের দেশে আসার দিবা স্বপ্ন দেখেছেন।”
সূত্র : এনএনবি
Time news FB Link
মন্তব্য