সব
বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি ৪৪ হাজার কোটি টাকা
সরকারের প্রতিবছরের খরচের জন্য যত টাকা দরকার, তার বড় অংশ জোগান দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কিন্তু এনবিআর কখনোই তার লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারে না। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংস্থাটির রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪৪ হাজার ৭২৮ কোটি টাকা কম। গত অর্থবছরে কর আদায় বেড়েছে ৮ শতাংশ।
এর ফলে টানা ১১ বছরের মতো রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হলো এনবিআর।
আরও পড়ুন : জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, দুই ভাইসহ নিহত ৩
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, আমদানি-রপ্তানি খাত থেকে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৯১ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। এ খাতে ঘাটতি ১৯ হাজার ২৮২ কোটি টাকা।
মূল্য সংযোজন খাত (মূসক) বা (ভ্যাট) থেকে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। এ খাতে ঘাটতি ১৬ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা।
আর আয়কর খাত থেকে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। ঘাটতি ৯ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা।
আমদানি রপ্তানিতে ২.৫৬ শতাংশ, মূসকে ১১.২৭ শতাংশ আর আয়কর খাতে ৯.৬২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতির পরিমান ছিল ২৮ হাজার কোটি টাকা। ওই বছর ৩ লাখ ৮৫২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। সেই হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঘাটতি হল বাড়তি ১৬ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও আইএমএফের সাবেক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর গণমাধ্যমকে বলেন, ঘাটতি বিষয়ে আমরা যা ধারণা করেছিলাম, তার তুলনায় ঘাটতি আছে। ৩ লাখ ৩০ থেকে ৩ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হবে বলে ধারণা করেছি। সেটাও হয়নি।
রাজস্ব আদায় বাড়াতে এনবিআরের সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সুদের হার বাড়ানো ও ব্যবসার ব্যয় বৃদ্ধি অর্থনৈতিক গতিশীলতা কমিয়ে আনবে এবং রাজস্ব আদায় আরও কঠিন হবে।
সূত্র : এনএনবি
Time news FB Link
মন্তব্য