সব
মুন্সীগঞ্জে ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার, এখনও নিখোঁজ ৫
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় বালুবাহী নৌযানের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া পিকনিকের ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ সময় আর কোনো লাশ উদ্ধার করা যায়নি।
রোববার বেলা ১১টায় উপজেলার রসকাঠির কাছে পদ্মার শাখা নদী থেকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ উপ-পরিচালক ওবায়দুল করিম খান।
তিনি জানান, ‘এয়ার লিফটিং ব্যাগ’ এবং ‘চেন কপ্পা’ পদ্ধতিতে প্রায় ৭৫ ফুট দীর্ঘ প্রায় সাত টন ওজনের ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বালুবাহী নৌযানের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ট্রলারটির আট যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও দুই শিশু ও তিন নারীসহ অন্তত পাঁচ জন নিখোঁজ রয়েছে।
তাদের খোঁজে কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন : ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ডেঙ্গু আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
এ ছাড়া স্বজনরাও নিজস্ব উদ্যোগে ট্রলার নিয়ে তালতলা-গৌরগঞ্জ খালেও খোঁজাখুঁজি করছেন। নিহত-নিখোঁজদের স্বজন ও পরিবারগুলোর মধ্যে চলছে শোকের মাতম।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পাশের সিরাজদিখান উপজেলার খেতেরপুর থেকে ট্রলারে করে লোকজন পদ্মা সেতু ও এর আশপাশের এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। ট্রলারটিতে ৪৬ জন যাত্রী ছিলেন। সারাদিন বেড়িয়ে ফেরার পথে লৌহজং এলাকায় বালুবাহী একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়।
স্থানীয়রা জানান, যে স্থানে ট্রলারটি ডুবেছে তার এক পাশে লৌহজংয়ের রসকাঠি গ্রাম আর অপরপ্রান্তে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সিলিমপুর গ্রাম। দুর্ঘটনার পর দুই পাড়ের মানুষ ছুটে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের লোকজন আসেন।
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আটক করা হয়েছে বালু বহনকারী বাল্কহেডটি। এছাড়া পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ করার পরও কেন সেটি রাতে চলছিল তাই নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীদের স্বজনরা।
সূত্র : এনএনবি
Time news FB Link
মন্তব্য