সব
সয়াবিন তেল
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে কমল ১০ টাকা, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমানো হয়েছে। রোববার সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাস্কফোর্সের সভাশেষে এ তথ্য জানান বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।
আরও পড়ুন : ব্যাংক ঋণের ৮৪০৪ কোটি টাকার সুদ মওকুফ: অর্থমন্ত্রী
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় দেশের বাজারে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। সয়াবিন তেলের দাম কমানো হয়েছে লিটারে ১০ টাকা, আর পাম তেলের দাম কমানো হয়েছে ২ টাকা করে। এখন থেকে প্রতি লিটার বোতলের সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৮৯ টাকায়, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৬৭ টাকায়। আর পাম তেলের দাম লিটারে দুই টাকা কমিয়ে ১৩৩ টাকা করা হয়েছে।
নতুন নির্ধারিত এই দামের সুফল ভোক্তারা কবে থেকে পাবেÑ এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, “আগামী তিন দিনের মধ্যে ভোক্তারা এই দামে পণ্য পাবেন।”
তবে বৈঠকে উপস্থিত সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, নতুন দামের তেল ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে পাঁচ দিন সময় লেগে যাবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম এখনও নি¤œমুখী জানিয়ে সচিব বলেন, “আমরা আশা করছি ঈদের আগে আরেক দফায় দাম কমাতে পারব।”
এর আগে গত ৪ মে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়ানো হয়। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৭৬ টাকা এবং বোতলের সয়াবিন তেলের দাম ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয় সে সময়। আর এছাড়া খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় ১৩৫ টাকা।
বাংলাদেশে ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সে সময় এক বিবৃতিতে বলেছিল, ভোজ্য তেল আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ এপ্রিল শেষ হওয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ভোজ্য তেলের ওই দাম ঠিক করা হয়েছে।
বাণিজ্য সচিব বলেন, আজকের সভায় অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ইত্যাদি। আজ আলোচনা করেছি বর্তমানে আমদানি পরিস্থিতি কেমন আছে, দাম কেমন হওয়া উচিত এসব বিষয়ে। এরই মধ্যে দেখেছেন পেঁয়াজের দাম কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরে দাম কমেছে। এখন আমরা সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিগগির আমদানিকারকরা দাম কমিয়ে দেবেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে পবিত্র রমজান মাসের চাহিদা ৩ লাখ টনের কাছাকাছি। স্থানীয় উৎপাদন হয় দুই লাখ টন। বাকি ১৮ লাখ টনই আমদানি করতে হয়।
সূত্র : এনএনবি
মন্তব্য