সব
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চাচাতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সবুজ খাঁন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবক সবুজ উপজেলার
সাভারে মধ্যরাতে একটি বাসার সবাইকে অচেতন করে এক কিশোরীর হাত-পা বেঁধে ও মুখে রুমাল গুঁজে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া, স্বর্ণলংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে তারা।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় এক সাবেক ইউপি সদস্যের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দিবাগত রাতে সাভার মডেল থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ধর্ষণের শিকার কিশোরী একটি স্কুলের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বড় ভাই বলেন, আমি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করে চাকরির সন্ধান করছি। বাবা একটি ব্যাংকের প্রাইভেটকার চালান, মা গৃহিনী। আর ছোট বোন স্কুলে পড়ে। গতকাল রাতে আব্বু, আম্মু ও আমার ছোট বোন আগেই ভাত খেয়ে নিছে। পরে খেয়েছি আমি। ভাত খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে আম্মু আমারে বলছে, তোর আব্বু যেন কেমন করছে? আমার কেন জানি মনে হচ্ছে খাবারে কিছু একটা মেশানে হইছে। পরে আমার বাবার রুমে গিয়ে ডাকাডাকি করলেও উনি সাড়া দেন নাই। আমি তখন মনে করছি আব্বু অসুস্থতার জন্য হয়ত ক্লান্ত। পরে আমার ছোট বোনের রুমে গিয়ে দেখি, তখন ও ফোনের হেডফোন কানে লাগিয়ে ভিডিও দেখতেছে। পরে আমার রুমে গিয়ে মোবাইলে কথা বলতে বলতে কখন যেন ঘুমিয়ে যাই।
তিনি আরও বলেন, পরে সকালে উঠে সব জানতে পারি। আমার বোনের মুখ থেকে শুনেছি, ওরা তিন জন গ্রিলকেটে ঘরে প্রবেশ করে। দুই জন ছিলো মধ্য বয়স্ক। তরুণ বয়সের একজন আমার বোনের বেডরুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো। আর দুইজন ওর হাত-পা বেঁধে মুখে রুমাল গুঁজে রেপড করেছে। আলমারি থেকে ২০ হাজার, আমার মানিব্যাগ থেকে ৫ হাজার, প্রায় দেড় ভরি স্বর্ণালংকার আর দুটি মোবাইল ফোনে নিয়ে গেছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার বোনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। ওর অবস্থা বেশি ভালো না। আমার আব্বু-আম্মুকেও সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
এ ঘটনা পরিকল্পিত দাবি করে তিনি বলেন, ৪ বছর আগে সাড়ে চারকাঠা জমি কিনে একতলা বাড়ি করেছি আমরা। আমার আব্বু প্রাইভেটকার চালিয়ে অনেক কষ্টে এই বাড়িটা করেছে। কিন্তু আধাকাঠা জমি আমাদের পাশের জায়গার মালিক দখল করে নিছে। এরপর বিভিন্ন সময় রাতের বেলা আমাদের নানা ভাবে উৎপাত করা হতো। এ ঘটনায় আমরা মামলা করার পর থেকে তারা আমাদের উপর ক্ষুব্ধ। এসব ঘটনা থেকে আমার মনে হচ্ছে, আমাদের পরিবারের ওপর এমন নির্যাতন পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে জমির মালিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, ভাকুর্তা এলাকায় পরিবারের সবাইকে অচেতন করে লুট ও এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। ভুক্তভোগীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন : উখিয়ার আশ্রয় শিবিরে গুলিতে রোহিঙ্গা কিশোর নিহত
সূত্র : এনএনবি
Time news FB Link
মন্তব্য