সব
নওগাঁয় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অফিস কক্ষে অনৈতিক কাজের অভিযোগ
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অফিস কক্ষে অনৈতিক কর্মকা-ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর জেলা ও উপজেলা প্রশাসন দুটি তদন্ত কমিটি করেছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এক ব্যক্তি মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকসহ শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম জাকির হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
বদলগাছী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াসিউর রহমান বলেন, “প্রধান শিক্ষক ও সহকর্মীর অনৈতিক কর্মকা-ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন : টেকনাফে পুড়ে গেছে বার্মিজ মার্কেটের শতাধিক দোকান
“ঘটনাটি তদন্তের জন্য উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আহ্বায়ক করে বুধবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার অঞ্জন কুমার কুন্ড ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক।”
কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্য প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
তবে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি ভিডিও ফুটেজ দেখে মঙ্গলবার দুজনকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। তারা পৃথকভাবে আমার সঙ্গে দেখা করে ভিডিওটি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন। একটি মহল দুজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে তারা আমাকে বলেছেন।”
তবে সংবাদকর্মীরা চেষ্টা করেও প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য সংগ্রহ করতে পারেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
অভিযোগকারী ও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকা-ের বিষয়টি তারা আগে থেকে জানতেন। গোপনে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে আইপি বাল্ব ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল। সেখানেই সেই দৃশ্য ধরা পড়ে এবং পরে সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারসহ নানা অভিযোগ করে স্থানীয় কয়েকজন সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, দুজন তাদের পেশাগত নৈতিকতা হারিয়েছেন। বিদ্যালয় থেকে তাদের অপসারণ দাবি করেন তারা।
এ ব্যাপারে বদলগাছী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলপনা ইয়াসমিন বলেন, “আমি ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।”
সূত্র : এনএনবি
Time news FB Link
মন্তব্য