সব
কুষ্টিয়ায় আদালত অবমাননা করে দোকান নির্মাণের কাজ করছিল নুরে আলম সিদ্দিকি নোমান গং। গতকাল (মঙ্গলবার) সরজমিনে কুষ্টিয়া দাদাপুর সড়ক পুলিশ লাইনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি করার জমিতে জোর পূর্বক দোকান নির্মাণ কাজ করছিল নুরে আলম সিদ্দিকি নোমান গং। পরবর্তীতে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকান নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বলেন। এসময় শহরের কমলাপুর এলাকার সাইদুল ইসলাম টুকু (নুরে আলম সিদ্দিকি নোমানের ভাই) ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের কাজে বাঁধার সৃষ্টি করে। সে তখন উগ্র ভূমিকায় ছিলেন। সে (সাইদুল ইসলাম টুকু) তখন পুলিশের সামনে বলেন পুলিশ ছাড়া এখানে কাজ বন্ধ করতে আসতো, ওদের দেখে নিতাম। এসময় পুলিশ কে বলেন ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। আমার ভাইয়ের দুই জামায় পুলিশের চাকরি করে। তারা এই দোকান নির্মাণ কাজ করাচ্ছে।
নুরে আলম সিদ্দিকি নোমানের ভাবী ফাহিমা বলেন ওই দোকান ঘর নির্মাণ কাজ আমি করাচ্ছি। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাঁ সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা আছে। তবুও আপনি নির্মাণ কাজ করাচ্ছেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার জায়গায় আমি দোকান নির্মাণ করছি এতে কার কি? আমার স্বামী মৃত্যুর পূর্বে এই জায়গা আমার দুই মেয়ের নামে দিয়ে গেছে। আমার দুই জামায় পুলিশে চাকরি করেন।
জানা যায়, স্মারক নংঃ অঃ জেঃ ম্যাঃ আঃ/৯৫৪ তারিখ ১৪ মে ২০২৩খ্রিঃ এবং কুষ্টিয়া মিস কেস নং-৪১৬/২৩। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খোর্দ্দ আইলচারা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোঃ ইমারত আলী কুষ্টিয়া মৌজাঃ আর এস ২৪নং হরেকৃষ্ণপুর, আর এস খারিজ খং খং ৬৫০ আর এস দাগ ৫১৭ জমিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে মহামান্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারা আবেদন করেন। এতে ২য় পক্ষ করা হয় কুষ্টিয়া শহরের দাদাপুর সড়ক পুলিশ লাইনের সামনে মৃত আজগর আলী মন্ডলের ছেলে নুরে আলম সিদ্দিকি নোমান কে। উপরোক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ বিচারক ২য় পক্ষ কে আদালতে হাজির হয়ে কারান দর্শানোর জন্য নোটিশ প্রদান করেন এবং পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পক্ষদ্বয়ের মধ্যে নালিশী সম্পত্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আদেশ দেন। এতে পরবর্তী তারিখ দেওয়া হয় ৪ জুন ২০২৩ ইং তারিখে।
এদিকে মঙ্গলবার দিনই পুলিশ তাদের দোকান ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
এই জমিতে এখন যদি কোন পক্ষ কিছু করতে যায় তবে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
মন্তব্য