সব
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা টাকা নিয়েও চাকরি সমতাকরণের কাজ করে না দেওয়ায় তার কার্যালয়েই আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আবুল কালাম আজাদ। গতকাল বুধবার (২৪ মে) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে এ কথা বলেন ওই কর্মচারী।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করনে, ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফি) পদের চাকরিতে যোগ দেন তিনি। একই পদের কনিষ্ঠ কর্মচারীদের বেতন পূর্বে যোগ দেওয়া কর্মচারীদের বেতনের চেয়ে বেশি হওয়ায় ২০০৫ সালে বেতন সমতাকরণে জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী তথ্য বিবরণী হালনাগাদ করতে আদেশ দেয় সরকার।
সে অনুযায়ী ২০১৯ সালের জুলাই মাসে আবুল কালাম আজাদ বেতন নির্ধারণী তথ্য হালনাগাদ করতে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। ওই সময় ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন সিরাজুল। একপর্যায়ে তাকে ৩৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ৯ মাস তাকে ঘুরানোর পর সমতাকরণের কাজ না করে ২৫ হাজার টাকা ফেরত দেন তিনি (সিরাজুল)। পরবর্তীতে তারই পরামর্শে নাটোর জেলার লালপুর, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার একই পদের কর্মচারীদের বেতন সমতাকরণের প্রমাণপত্র সংগ্রহ করে ২০২২ সালের অক্টোবরে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়। সেখানে তার থেকে নতুন করে ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করা হয়। টাকা নিয়ে আবারও হয়রানি করতে থাকলে এ নিয়ে গত বুধবার (১৭ মে) দুপুরে ওই কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলে তিনি (সিরাজুল) আজাদকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।’ ওইদিনই হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন আজাদ। অভিযোগের কপি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে জমা দেন তিনি। এ ঘটনার পর থেকে নিয়মিত কার্যালয়ে আসেন না সিরাজুল ইসলাম।
বুধবার (২৪ মে) ঢাকা হতে পরিদর্শন শাখা (আইসিইউ) হতে সাইফুল ইসলাম পাটগ্রাম উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয় পরিদর্শনে যান। এদিন বহিরাগত বেশ কিছু লোকজনদেরকে সিরাজুল তার কার্যালয়ে বসিয়ে রাখেন ও কার্যালয়ের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে রাখেন।
পাটগ্রাম উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম কার্যালয়ে বহিরাগত লোকজন বসিয়ে রাখার ব্যাপারে বলেন, তারা কাজের জন্য এসেছে। কি কাজের জন্য এসেছে এটি স্পষ্ট করে জানাতে পারছি না। একপর্যায়ে তিনি ও বহিরাগত ৩-৪ জন ব্যক্তি সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন। পরে কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মন্তব্য