সব
আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না, হাসিনা নির্বাচনের নামে দেশকে কলুষিত করেছে এমন মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।
এসময় তিনি বলেন, ৭১ এর পরে শেখ মুজিব জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩০ হাজার নেতাকর্মী হত্যার মাস্টারমাইন ছিলেন। আর ২৪শে তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার গণহত্যা হয়েছে। এই বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগকে আর কোন গণহত্যার সুযোগ দেয়া হবে না।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা দোয়া ও ইফতার মাহফিলে রাশেদ খাঁন এসব কথা বলেন।
রাশেদ খাঁন বলেন, ভারত এদেশে শেখ হাসিনাকে পাঠিয়েছিল ছলে বলে কৌশলে দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করার জন্য এবং শেখ হাসিনা মাথায় হিজাব ও হাতে তসবি নিয়ে বলেছিলেন, আমাদেরকে আর একবার সুযোগ দেন আমাদেরকে ক্ষমা করেন। অতীতের সমস্ত ভুল ভ্রান্তি ভুলে একবার ক্ষমতায় এনে দেশ সেবার সুযোগ দেন। এরপর ক্ষমতায় এসে তিনি গণহত্যা চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী তারা একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রেখেছে। ওই সময় শহীদ প্রেসিডেন্ট মেজর জিয়াউর রহমান যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন তাহলে এদেশে কোন যুদ্ধ হতো না। সেনাবাহিনী ফাইট করেছে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে এবং দেশ স্বাধীন হয়েছে। ৯০য়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও সেনাবাহিনী ভূমিকা রেখেছে তখন এরশাদের পতন হয়েছে। এরপর ২৪শের জুলাই বিপ্লব সেনাবাহিনী যখন জনগনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে তখনও স্বৈরাচার হাসিনার পতন হয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবার ও আহতদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোক্তারুজ্জামান বেলুন সভাপতিত্বে ও গণঅধিকার পরিষদের কুষ্টিয়া জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেকের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে বিশেষ অতিথি ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক ইকবাল, কেন্দ্রীয় সংসদের সহ কর্মসূচি এবং নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব, যুব অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র-সহ সভাপতি শাকিল আহমেদ তিয়াস, কুষ্টিয়া পৌর কমিটির সভাপতি ভিপি রঞ্জু প্রমুখ।
মন্তব্য