সব
ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান সামরিক তৎপরতার প্রেক্ষাপটে, ইউরোপের দেশগুলোতে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ পুনরায় চালু করার পক্ষে জোরালো সমর্থন জানিয়েছেন লাটভিয়ার প্রেসিডেন্ট এডগার্স রিঙ্কভিচ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে যা ঘটছে, তাতে অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোরও লাটভিয়ার পথ অনুসরণ করা উচিত।
গত বছর, অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে লাটভিয়ায় পুরুষ নাগরিকদের জন্য বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ পুনরায় চালু করা হয়েছে।
এর আগে ২০০৬ সালে এই ব্যবস্থাটি বাতিল করা হয়েছিল।
বাল্টিক অঞ্চলের এই দেশটি রাশিয়ার সঙ্গে ১৮০ মাইলেরও বেশি দীর্ঘ সীমান্ত share করে, ফলে তারা রুশ আগ্রাসনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা সম্প্রতি ব্রাসেলসে জরুরি বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন।
বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়।
সেখানে তারা সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন।
মূলত, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি দুর্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে দেশগুলো এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
রিঙ্কভিচ জোর দিয়ে বলেন, লাটভিয়ার এই সিদ্ধান্তকে অন্যান্য দেশগুলোরও গ্রহণ করা উচিত।
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, অনেক ইউরোপীয় দেশই ঠান্ডা যুদ্ধের অবসানের পর বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ বন্ধ করে দিয়েছিল।
তবে বর্তমানে পরিস্থিতি বিবেচনা করে, বিশেষ করে স্ক্যান্ডিনেভিয়া এবং বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলোতে এই ব্যবস্থা পুনরায় চালুর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
সামরিক প্রশিক্ষণে অংশ না নিলে জরিমানা বা কারাদণ্ডের মতো শাস্তির বিধানও রয়েছে কিছু দেশে।
লাটভিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও জানান, তার দেশে নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ চালুর বিষয়েও আলোচনা চলছে, তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
প্রেসিডেন্ট রিঙ্কভিচ স্বীকার করেন যে বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই উদ্বিগ্ন, তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “সরকার এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে আমরা সবাই শক্তিশালী হতে পারি।”
তথ্য সূত্র: সিএনএন।
মন্তব্য