
নাটোরের সদর হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের খাজানগর চাষী ক্লাব এলাকা থেকে। এ সময় মূল অভিযুক্ত দুই নারীকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : প্রকাশ্যে আনলেন ইলিয়ানা সন্তানের বাবার ছবি
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে নাটোর সদর হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ শিশুটি তার দাদি খায়রুল নাহারের কোলে ছিল। পরে দুপুর ১২ টার দিকে নার্সের পোশাক পরিহিত অবস্থায় কাজলী খাতুন এসে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে নবজাতককে তার দাদির কল থেকে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় শেষে ফিরে না আসায় স্বজনরা বাচ্চাটির খোঁজ করতে থাকে। পরবর্তীতে পুরো হাসপাতাল চত্বরে সে নারীর আর কোন খোঁজ পাওয়া যায় না। এই ঘটনার পরপরই সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ একাধিক টিম বানিয়ে মাঠে নামায়। টানা অভিযানে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নবজাতকের উদ্ধার করা হয়। এ সময় নবজাতক চুরি ও বিক্রি করার অপরাধে কাজলী খাতুন ও শিশুটিকে কেনার অপরাধে আরেক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্রের কাজ বলে জানা গেছে। অন্য অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত জহুরুল বলেন, মূলত এই অভিযানে নাটক জেলা পুলিশের টিম কাজ করেছে। এই অভিযানে সহায়তা করেছে কুষ্টিয়া পুলিশের সদস্যরাও। এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত জানতে পারবেন।
নাটোর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ বলেন, কুষ্টিয়ার খাজা নগর এলাকার বাসিন্দা কাজলী খাতুন নাটোরে অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তিনি বাচ্চাটিকে হাসপাতাল থেকে চুরি করে। চুরি করা বাচ্চাটি সে তার ভাইয়ের বউ এর কাছে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে। যে কিনেছে তার নামও কাজলী তার কোন সন্তান নেই। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। শিশু চুরির ঘটনায় দুই কাজলিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।