
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে পৃথক ঘটনায় দুই তরুণীসহ তিনজনের মরদেহ পেয়েছে পুলিশ। মৃতরা হলেন- আয়শা সিদ্দিকা কথা (২৩), লিমা (২১) ও তারিকুল ইসলাম (২৭)। রোববার (১১ জুন) বিকেলের দিকে দুই তরুণীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। এছাড়া তারিকুল ইসলামের মরদেহ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন : ব্যাংক ঋণের ৮৪০৪ কোটি টাকার সুদ মওকুফ: অর্থমন্ত্রী
খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোনিয়া পারভিন জানান, খবর পেয়ে বেলা পৌনে ৩টার দিকে খিলগাঁও পূর্ব গোড়ান ৯ নম্বর রোডের একটি টিনসেড বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় আয়শার মরদেহ। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায়। স্বামী গাড়িচালক ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে গোড়ানের ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
স্ব^ামী দাবি করেছেন, প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া তার কাছে ১ হাজার টাকা পাবেন। সে টাকার জন্য দুপুরে প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া হয় আয়শার। পাওনাদারের টাকা পরিশোধ না করায় একপর্যায়ে আয়শা বাসায় আবার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে। পরবর্তিতে রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন আয়শা। খবর পেয়ে ওই বাসার দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মোল্লা জানান, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে লিমা নামে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই তরুণী এক বছর আগে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সেখান থেকে চার পাঁচ মাস আগে বাংলাদেশে আসেন। থাকতেন খিলগাঁও নন্দীপাড়ায়। শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তিনি। এ কারণে তার পরিবার গত ২৭ মে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখান দুই দিন ভর্তি থাকার পর কাউকে কিছু না বলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
ওসি আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যায় নন্দীপাড়া এলাকায় লিমা পথচারীদের বলেন, তিনি খুব অসুস্থ অনুভব করছেন। পরে পথচারীরা তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (১১ জুন) সকালে মারা যান তিনি।
তার বাবার নাম নুর ইসলাম। লিমা মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, অপরদিকে মেরাদিয়া বনশ্রী রোড ৭/এ ব্লক এইচ বাড়ি নম্বর ১০ বাসা থেকে দরজা ভেঙে তারিকুল ইসলাম (২৭) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার বাবার নাম আহসান উল্লাহ।
পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, সে অনেক আগেই এমবিএ শেষ করেছে। চাকরি খুঁজছিল, পাশাপাশি নানা কারণে হতাশায় ভুগছিল। এসব কারণে সে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে।
দুপুরের দিকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তারিকুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।