
যশোর, সিলেট ও গাইবান্ধায় এক রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে দিবাগত রাত পর্যন্ত এ সব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২২ জন।
যশোরে বাস চাপায় ইজিবাইকের ৭ যাত্রী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের লেবুতলা তেতুলতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তাদের বাড়ি যশোর সদরের সুলতানপুর গ্রামে। অন্যজন ইজিবাইক চালক।
আরও পড়ুন : ডেঙ্গু প্রতিরোধে ৫ নির্দেশনা নিয়ে কাল খুলছে স্কুল-কলেজ
নিহতরা হলেন যশোর সদরের সুলতানপুরের সাইফুলের ছেলে ও ইজিবাইক চালক ইমরান হোসেন (২৭), বাঘারপাড়ার যাদবপুরের হেলালের জমজ দুই ছেলে হোসেন ও হোসাইন (২), তার মেয়ে খাদিজা (৭), একই এলাকার বাবুল মুন্সির স্ত্রী ফাহিমা খাতুন (৩০)। বাকি দু’জনের পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় মুদিদোকানি বরাতে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, ব্যাটারি চালিত একটি ইজিবাইক সাত যাত্রী নিয়ে যশোর থেকে লেবুতলা বাজারের দিকে যাচ্ছিলো। পথে তেতুলতলা নামক স্থানে পৌঁছালে মাগুরাগামী একটি বাস ইজিবাইকটিকে পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ছয় জন নিহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান।
সিলেট-তামাবিল সড়কে বাস-ইজিবাইক সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ জুলাই) দিবাগত রাত ১০টার দিকে দরবস্ত এলাকায় এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দু’জন।
নিহতরা হলেন উপজেলার বড়খলা গ্রামের মৃত খুর্শেদ আলমের ছেলে মুসদ আলী (৫০), শ্রীখেল গ্রামের মোজাম্মেল আলীর ছেলে নূর উদ্দিন (৫৫), বারগাতি গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে আব্দুল লতিফ (৫০), ফরফরা গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে মো. কামাল (২৫) ও দিঘীরপাড় গ্রামের আব্দুস শুকুরের ছেলে মতিন কাছাই (৪৫)।
সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা শ্যামল বনিক জানান, রাত ১০টার দিকে একটি বাস সিলেট থেকে জাফলংয়ের দিকে যাচ্ছিল। এসময় দরবস্ত এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ব্যাটারি চালিত একটি ইজিবাইককে চাপা দেয়। এতে ইজিবাইকে থাকা চালকসহ সাত যাত্রীর মধ্যে পাঁচ জন নিহত হন। গুরুতর আহত হন আরও দু’জন।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর ও ঢাকা মহাসড়কের বালুয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
নিহতরা হলেন সাদুল্লাপুর উপজেলার চকরতিপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে জহুরুল ইসলাম, ধাপেরহাটের জাহিদ (২৫) ও ঝর্না বেগম।
প্রত্যক্ষদর্শীতের বরাতে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস রংপুর যাচ্ছিল। এই সময় যাত্রীবাহী একটি ট্রাক ৪০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। পথে বালুয়া বাজার এলাকায় পৌঁছিলে বাস ও ট্রাকটির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দু’জন মারা যায়। এ ঘটনায় আহত ২০ জন হয়েছেন।
সূত্র : এনএনবি
Time news FB Link