
কক্সবাজারে উখিয়ার দুটি শরণার্থী শিবিরে ‘আধিপত্য বিস্তারের’ জেরে পৃথক হামলায় আরও তিন রোহিঙ্গা নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে উখিয়া উপজেলার ১৫ নম্বর জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন। এর আগে বিকালে গুলিতে নিহত হয়েছিলেন একজন।
রাতে নিহতরা হলেন- জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-৩ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. জোবায়ের (১৬) এবং ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের বাসিন্দা আবুল বশরের ছেলে আবুল কাশেম।
তবে নিহত অপর একজনসহ হতাহত অন্যদের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি ওসি।
আরও পড়ুন : এক মাসের মধ্যে আলুর দাম কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
স্থানীয়দের বরাতে শামীম হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জামতলী ১৫ নম্বর ক্যাম্পের সি ব্লকে মো. জোবায়েরসহ কয়েকজন রোহিঙ্গা আড্ডা দিচ্ছিল।
“এক পর্যায়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা’র ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল অতর্কিত তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে চার রোহিঙ্গা আহত হয়।
“খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।“
এদিকে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উখিয়া উপজেলার ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হয়েছেন আবুল কাশেম।
স্থানীয়দের বরাতে শামীম হোসেন বলেন, রাতে আবুল কাশেমকে ঘর থেকে ডেকে বের করে এনে উপর্যুপরি গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আবুল কাশেম।
খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
অপরদিকে মঙ্গলবার বিকালে উখিয়া উপজেলার ৪ নম্বর ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ইমাম হোসেন নামের আরেক রোহিঙ্গা। ফলে উপজেলায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনটি হামলার ঘটনায় চারজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
কারা, কী কারণে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ তা এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ তথ্য পেয়েছে। তারপরও ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
সূত্র : এনএনবি
Time news FB Link