
স্বল্প পরিসরে রোগী ভর্তি শুর“ হলো কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। আজ সোমবার থেকে হাসপাতালের মেডিসিন ও শিশু বিভাগে ৯০টি শয্যায় আবাসিক কার্যক্রম শুর“ হলো।
বেলা ১১টায় উল্লেখযোগ্য আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়। দুপুরে হাসপাতালের মেডিসিন ও শিশু বিভাগ পরিদর্শন করেন ¯^াস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. রিজওয়ানুর রহমান, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আনোয়ার“ল কবীর, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও চিকিৎসকরা।
এর আগে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে বেশ কিছু রোগী এনে রাখা হয় এই হাসপাতালে। এসব রোগীরা নতুন হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে সšে—াষ প্রকাশ করলেও ওষুধ ও খাবার পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান তারা।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রয়েছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে আসা আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, গত শুক্রবার আমি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হই। এরপর গতকাল আমাকে এখানে পাঠানো হয়। এখানে চিকিৎসা ভালো পাব বলে মনে হচ্ছে। ওষুধ ও খাবার বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে।
উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে হাসপাতালের পরিচালক আনোয়ার“ল কবীর বলেন, স্বল্প পরিসরে মেডিসিন ও শিশু বিভাগে ৪৫টি করে মোট ৯০ শয্যায় আবাসিক কার্যক্রম শুর“ হলো। আশা করছি পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গরূপে হাসপাতালটি দ্র“তই চালু করতে পারব।
¯^াস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. রিজওয়ানুর রহমান বলেন, একটা বড় কাজ শুর“ হলো এখন থেকে। ৫০০ শয্যার হাসপাতালটি অš—ত শুর“ হলো। এখন ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গরূপ দেওয়া প্রচেষ্টা চলমান থাকবে। রোগীদের সুযোগ সুবিধাও বাড়ানো হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসা কুষ্টিয়া বিএনপির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার বলেন, অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে হাসপাতালের আবাসিক কার্যক্রম শুর“ করা গেল, এটাই প্রথম সফলতা। এই হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হওয়া কুষ্টিয়া ও আশপাশের জেলাগুলো প্রাণের দাবি। সেই ল¶েই আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা চলমান থাকবে।