
কুষ্টিয়া শহরের জিকে কলোনীতে চোর সন্দেহে মারধরের পর নিখোঁজ অতঃপর এক রিকশাচালকের মৃত্যু ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এবার সেই রহস্যকে ব্যবহার করে শহরের প্রতিষ্ঠিত দুই ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করছে একটি চক্র। ওই দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে বিভ্রান্তিকর তথ্য।
তারা হলেন, শহরের গ্রিন চিলিসের সত্ত্বাধিকারী সুমির শীল এবং বিসমিল্লাহ মিনি চাইনিজের সত্ত্বাধিকারী ও বিএনপি নেতা ইয়াসিন আলী। তাদেরকে রিকশাচালক হত্যায় জড়িত অভিযোগ তুলে পোস্ট করা হচ্ছে বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক পেজে। অথচ ওই ঘটনায় দায়ের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। এমনকি বাদী তাদের চেনেনও না।
গত বৃহস্পতিবার সকালে শহরের জিকে কলোনী থেকে রিকশাচালক সুরমান খানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় থানা মোড়ের ব্যবসায়ী হাকিম, তার স্ত্রী ও কন্যাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ওইদিন দায়ের করা মামলায় সুরমানের স্ত্রী ১০ জনকে আসামি করলেও কোথাও সুমির ও ইয়াসিনের নাম নেই। এরপর শুক্র ও শনিবার কিছু ফেসবুক পেজে সুমির ও ইয়াসিনের নাম অন্যান্যদের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
ওইসব ফেসবুক পোস্টকে ভুয়া আখ্যায়িত করে সুমির শীল বলেন, আমি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও সুষ্টু তদন্তসাপেক্ষে এই কুচক্রি মহলের বিচার দাবি করছি। একইরকম দাবি জানান, আরেক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ইয়াসিন আলীও।
এদিকে মামলার এজাহার ঘেঁটে দেখা যায়,ওই ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হলেও দুই ব্যবসায়ীর নাম দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, পুলিশ এই ঘটনা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করছে। এখন কেউ যদি কারো বিরুদ্ধে বাড়তি কিছু ফেসবুকে লিখে থাকে এবং আমরা অভিযোগ পাই, তাহলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।