
কুষ্টিয়া পৌরসভার তালিকাভুক্ত বাড়ির নকশা তৈরীর ‘ইলাহী আর্কিটেক্ট এন্ড সয়েল টেক’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করেছে কুষ্টিয়া পৌরসভা। একই সঙ্গে লাইসেন্সটি কালো তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ারের স্বাক্ষর জাল ও সিল ব্যবহার করে বাড়ির নকশা তৈরীর জালিয়াতি করার অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গেল ১ জুন বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রশাসক মিজানুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে লাইসেন্স স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

পৌর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার তালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠান পারফেক্ট হোম ডিজাইন এন্ড কনসালটেন্সি এর স্বত্তাধীকারী প্রকৌশলী মাহমুদ আল হাফিজ (অভি) এর স্বাক্ষর জাল ও সিল জাল করে পৌর এলাকায় একটি বাড়ির নকশা দাখিল করে তালিকাভূক্তির শর্ত ভঙ্গ করে ইলাহী আর্কিটেক্ট এন্ড সয়েল টেক এর স্বত্তাধীকারী আশিক ইলাহী মাশুক। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে এ ধরণের জাল জালিয়াতি করে আসছে আশিক ইলাহী। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারর্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি) এর সদস্য না হয়েও নামের আগে “প্রকৌশলী” পদবি ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী বাড়ির মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি নজরে আসে পৌর কর্তৃপক্ষের। এরপরই লাইসেন্স স্থগিত করে পৌর কতৃপক্ষ।
ভুক্তভোগী বাড়ির মালিক হাফিজুর রহমান জানান, চৌড়হাঁস এলাকার মতি মিয়া সড়কে আমার ছোট ভাই আজমল হকের ৫ তালা বাড়ি ইলাহী আর্কিটেক্ট এন্ড সয়েল টেক এর স্বত্তাধীকারী আশিক ইলাহীর থেকে নকশা তৈরি করা হয়। সেসময় আশিক ইলাহী পরিচয় দেয় সে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সিটিটিউট অব বাংলাদেশ ( আইইবি) এর সদস্য। বাড়ি নির্মান কাজ শুরু হলে বেজমেন্টে ফাটল ধরে, এসময় আশিক ইলাহীকে খবর দিলে তিনি কোন সমাধান দিতে পারেননি এবং তার আইইবি’র সদস্য নম্বর জানতে চাইলে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে আমারা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি আশিক ইলাহি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। ৫ তালা বাড়ির নকশাতে স্বাক্ষর করার কোন অনুমতি নেই তার। মোটা অংকের টাকা নিয়ে আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে আশিক ইলাহী। তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে জোর দাবি করেন তিনি।
ইলাহী আর্কিটেক্ট এন্ড সয়েল টেক এর স্বত্তাধীকারী আশিক ইলাহী মাশুকের সঙ্গে কথা বলতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বাড়ির নির্মানের নকশা তৈরি করায় একজনের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। কেউ যাতে এ ধরনের অপরাধ করতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে। এ ধরনের স্বাক্ষর জালকারী কাজের সঙ্গে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।