
ইসরায়েল ও ইরান পুরোপুরি ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে—যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পর ইসরায়েলের বীরসেবাতে ইরান থেকে চালানো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স সেবা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, নিহত তিনজনের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও একজন নারী।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) টাইমস অব ইসরায়েলের খবর বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর এবং বাকী ছয় জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। তারা সুস্থ রয়েছে। ইরানের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বীরসেবাতে যে ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে আর কোনো হতাহত রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন মেডিকেল কর্মীরা।
বিবিসির খবরে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদম ঘটনাস্থলের বর্ণনা দিয়ে জানিয়েছে, যে এলাকায় হামলা হয়েছে সেখানে গিয়ে আমরা দেখতে পেয়েছি কালো ধোঁয়া উড়ছে। সামনের দিকে এগোতেই দেখতে পাই একাধিক ভবনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছে। একটি ভবনের বাইরে একজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছি। ভবনের ভেতর ঢোকার পর আমরা একজন নারী ও এক পুরুষকে অচেতন অবস্থায় পাই।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, হামলায় আহতদের জন্য জরুরি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া হামলার পর যারা ভবন থেকে বেরিয়ে এসেছে তাদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
এর আগে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে আজ সকালে পাঁচটি ধাপে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর ইসরায়েলে সাইরেন বাজছে।
ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা পাওয়ার পর ইসরায়েলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয় এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদে থাকতে বলা হয়।
এদিকে সোমবার (২৩ জুন) রাতে কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। এতে ক্ষয়ক্ষতি বেশি না হলেও উত্তেজনা ছড়ায় পুরো মধ্যপ্রাচ্যে। তবে এই উত্তেজনার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইরান ও ইসরায়েল দুই দেশই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।