সব
গাইবান্ধায় বন্যায় পানিবন্ধি ৩০ হাজার পরিবার
ভারী বর্ষন এবং উজান থেকে আসা ঢলে গাইবান্ধা বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়েছে। পানিবন্ধি পরিবারগুলো ইতিমধ্যে উচু স্থানে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে এবং আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে। গৃহপালিত পশুপাখি, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু ও প্রসুতি নারীদের নিয়ে নিদারুন কষ্টে রয়েছে চরবাসি। বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানি, গো-খাদ্য এবং চিকিৎসা সেবা নিয়ে বিপাকে চরবাসি। পানি বাড়ায় চরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া এক চর হতে অন্য চরে যাওয়া আসা করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন : যমদূত মার্টিনেজের বীরত্বে টাইব্রেকারে জিতে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা , হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বৃহস্পতিবার সকাল হতে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সবগুলো চর ডুবে গিয়ে কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। সেই সাথে চরের সবগুলো ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে। বন্যা আসলে তিস্তার শাখা নদীর আশপাশ ডুবে যায় পানিতে। বন্যা আসলেই শুরু হয় নদী ভাঙন। চলতে থাকে বছর ব্যাপী। নদী পাড়ের মানুষের দাবি, স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ দিনেও স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙন রোধ, ড্রেজিং, নদী খনন, ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করেনি সরকার। যার কারনে প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি, হাজারও একর ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, সার্বক্ষনিক বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হয়েছে। স্থানীয় ভাবে সকল প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বরাদ্দের জন্য তালিকা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলেই তা বিতরণ করা হবে।
মন্তব্য