সব
ছোট্ট কাঁধে বড় বোঝা
শিশু সোয়াত। ‘তিলের খাজা বিক্রেতা’ বয়স মাত্র ১০বছর। এমন সময় তার হাতে থাকার কথা বই, খাতা ও কলম। কিন্তু অভাব তাকে জ্ঞানের আলো আহরণ থেকে অনেক দূরেই রেখেছেন। বলছি কুষ্টিয়ার কুমারখালী রেল স্টেশন এলাকায় বসবাস করা শিশু সোয়াত এর কথা।
অসুস্থ বাবা ইকবাল ও মা রুমি খাতুন অন্যের বাসা বাড়িতে কাজ করেন। শিশু সোয়াতের বাবা মা সহ দুই ভাই ও এক বোন। তাকে দিয়ে সংসারে ছয় সদস্য। ভাই বোনের মধ্যে সোয়াত সবার বড়।
আর এতেই ছোট বয়সেই তার কাঁধে ভর করেছে বড় সংসারের ভার। তাই তো অভাবের সংসারে জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের অলিগলিতে পায়ে হেঁটে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন তিলের খাজা। তিলের খাজা বিক্রির আয়ের টাকা ও মায়ের অন্যের বাসা বাড়িতে কাজ করে যে টাকা পান তা দিয়েই চলে তাদের সংসার। এ বয়সে সোয়াতের সংসার বাঁচানোর এমন লড়াই দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে কথা হলে শিশু সোয়াত বলেন,বাবা অসুস্থ, মাও অন্যের বাসা বাড়িতে কাজ করেন। ছয়জন সদস্যের বড় একটি পরিবার আমাদের। তাই প্রতিদিন বাকিতে কারখানা থেকে তিলের খাজা নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পায়ে হেঁটে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করি। তিলের খাজা বিক্রি করে যে টাকা আয় হয় সেই টাকা ও মায়ের অন্যের বাড়িতে কাজ করা টাকা দিয়েই চলে সংসার। মাঝে মধ্যে শরীর খারাপ হলে কুমারখালী শহরেও এভাবেই তিলের খাজা বিক্রি করি। বিক্রয় শেষে কারখানা মালিককে পাওনা টাকা মিটিয়ে আবার পরদিন সকালে বাকিতে তিলের খাজা নেওয়া হয়। লেখাপড়া করতে চাও? এমন প্রশ্নে সোয়াত বলেন, পরিবারের যে অবস্থা এতে আমার পড়াশোনা করার ইচ্ছা নাই। পরিবারের সবাইকে ভালো রাখতে যায়। নিজের কোন স্বপ্ন আছে? এ কথা জানতে চাইলে উত্তরে সে বলে তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে বাঁচতে চাই।
মন্তব্য