সব
হরিপুর তিস্তা সেতুর ১৫০ গজ দুরে বালু উত্তোলন সেতুটি দেবে যাওয়ার আশঙ্কা
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর ওপর নির্মাণাধীন হরিপুর-চিলমারি তিস্তা পিসি গার্ডার সেতুর দেড়’শ গজ দুরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী একটি অসাধূ ব্যবসায়ী মহল। প্রশাসনের নিষেধ ও আদেশ অমান্য করে দেদারচ্ছে বালু উত্তোলন করছেন মহলটি। সেতুর আশপাশে এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে যে কোনমুহূর্তে সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে দাবি করেন সেতু নির্মাণ কর্তপক্ষ।
গত এক সপ্তাহধরে সেতুর উত্তর ধারে হরিপুরের পাত্রখাতা মৌজায় বালু উত্তোলন করছেন জেনে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.মাসুদুর রহমানপুলিশ নিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেন। এ সময়বালু উত্তোলন কারি প্রভাবশালী মহলের এক নারী নেত্রীর সাথে কথা বলেন এবং বালু উত্তোলনের নিষেধ করেন। কিন্তু প্রশাসনের আদেশ ও নিষেধ তোয়াক্কা না করে প্রভাবশালী মহলটি বালু উত্তোলন করেই যাচ্ছে।
স্থানীয় ডাঙ্গার চরের মো. সোলেমান আলী বলেন, সেতুর পাশে দীর্ঘ দিন ধরে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যারা সচেতন ব্যক্তি তারাই যদি এসব অসচেতন কাজ করেন, তাহলে সমাজের ন্যায় ও অন্যায় কে দেখবে ? সেতুরক্ষার স্বার্থে নিজ দায়িত্ব থেকে এসব অন্যায় কাজ বন্ধ করতে হবে। সেতুটি আমাদের দেশের জন্য একটি বড় সম্পদ।
আরও পড়ুন : ব্যক্তিগত স্বার্থে কেউ দলকে ব্যবহার করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না
হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, নেতার চেয়ে দল বড় এবং দলের চেয়ে দেশ বড়। দেশের সম্পদের ক্ষতি করবে, সে যে দলেরই হোকনা কেন তাকে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বালু উত্তোলন কারি মহলটির সদস্যদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.নাজির হোসেন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিত্বে সহকারি কমিশনার(ভুমি) কে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এসে বালু উত্তোলন করবেন। সেতুটি দেশের সম্পদ, সেটি রক্ষা করার জন্য সকলকে ভুমিকা রাখতে হবে।
চলতি বছরের মার্চ মাসে যাতায়াতের জন্য খুলে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের চিলমারি বাসির স্বপ্নের তিস্তা পিসিগার্ডার সেতু। ইতোমধ্যে সেতুর ৯৫ ভাগ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকীকাজ শেষে সময় সূচি ঠিককরে উদ্বোধন করাহবে। সম্প্রতি সেতু পরিদর্শনে এসে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ একথা বলেন।
মন্তব্য