সব
৬৮ মামলা গলায় রশীদ পরিবারে নিরব প্রশাসন
আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও এখনো গ্রেফতার হয়নি ৬৮ঋণগ্রস্ত মামলার আসামি কুষ্টিয়ার শীর্ষ চাল ব্যবসায়ী আবদুর রশিদ। সোনালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক সহ দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরের রশিদ অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টের মালিক আবদুর রশিদ ও তার পরিবারের সদস্যরা। এত মামলার আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে সমালোচনার ঝড়। এই নিয়ে পুলিশের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকটি সংস্থা ও আদালত সূত্র বলছে, এই নিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কয়েক দফায় ঋণ পরিশোধের নোটিশ দিলেও তাতে সাড়া দেননি আবদুর রশিদ ও তার পরিবারের লোকজন। তাই তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত আবদুর রশিদ ও তার পরিবার সদস্যদের বিরুদ্ধে ৬৮টি মামলা দায়ের করেছে বিভিন্ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন : কুমিল্লায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নাম-প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, আবদুর রশিদ প্রভাবশালী চাল ব্যবসায়ী হওয়ায় ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋনের টাকা তিনি পরিশোধ করছেন না। বছরের পর বছর ঋণ পরিশোধের নোটিশ দিয়েও সাড়া দেননি তিনি ও তার পরিবার। তাই উপায় না পেয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এতে আবদুর রশিদ ও তার পরিবার লোকজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরেও নির্বিঘ্নে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন আবদুর রশিদ। রাজকীয় চলাফেরাতেও দেখা মিলছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।এতে অনেকটাই নির্বিকার রয়েছেন প্রশাসন। ৬৮মামলার এই আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে আবদুর রশিদের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
কুষ্টিয়ার সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি রফিকুল আলম টুকু বলেন,অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন সবার জন্য সমান।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন, ক্রাইম ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, খোঁজ খবর নিচ্ছি আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য